পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি
ইউনিয়নে আড়পাংশিয়া ও মুন্সীগঞ্জ ফুলতলা বাউলিয়া বাড়িতে সনাতনী(হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব পালন করা হয়েছে। হিন্দুদের উৎসবের মধ্যে এটি হল একটি অন্যতম উৎসব।
২৬ নভেম্বর রবিবার রাস পূর্নিমা তিথিতে এটি উৎযাপিত হয়।এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশেষ উৎসব।হাজার হাজার দর্শনাথীদের ভীড়ে আড়পাংশিয়ার রাসমেলায় মিলনমেলায় পরিনত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ডালিম কুমার ঘরামী,
কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাদের ইচ্ছা পূরণ করবেন এবং তাদের সঙ্গে রাসলীলা করবেন। এভাবেই শুরু হয় রাস লীলা। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত আছে বিশেষ মাহাত্ম্য।
শোনা যায় রস থেকেই নাকি রাস শব্দের সূচনা হয়েছিল। প্রথম নবদ্বীপে নাকি এই উৎসব পালিত হয়। সেই সময় চৈতন্যদেবের পরবর্তী সময়ে নবদ্বীপে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় এই উৎসব পালন করা হত।
পুজোর মরশুম শুরু হয়েছে দুর্গা উৎসব থেকে। দূর্গা পূজার পর লক্ষ্মীপূজো কালীপুজো ভাইফোঁটা জগদ্ধাত্রী পূজার মতো একে একে উৎসব হওয়ার পর পালিত হচ্ছে রাস পূর্ণিমা।
আজকের দিনে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানীর পূজা করলে তাদের আরাধনা করলে পাওয়া যায় তাদের বিশেষ কৃপা।কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে বলা হয় কার্তিক পূর্ণিমা, যা এ বছরের ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার।
তাই এই পূর্ণিমাকে কার্তিক পূর্ণিমাও বলে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই পূর্ণিমায় উপবাস করলে একজন ব্যক্তি শত অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফল লাভ করেন। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান করা শুভ বলে মনে করা হয়।হিন্দু ধর্মে এই পূর্ণিমাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহণ করেছিলেন। তাই এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
Leave a Reply